আমরা মুসলিম জাতী হিসাবে আমাদের নামাজ পড়া ফরজ। নামাজ না পড়লে পরকালে এর জন্য খুব মারাত্মক শাস্তি পেতে হবে, তাই পরকালে জাহান্নাম থেকে বাচার জন্য নামাজ পড়া খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আর নামাজ পড়ার জন্য প্রয়োজন,নামাজের ফরজ ওয়াজিব সুন্নত মুস্তাহাব সমূহ গুলো যেনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ
নামাজের ফরজ সমূহ
নামাযের ফরজ ১৩ টি
সালাতের মধ্যে এই ১৩ ফরয গুলোর একটিও ছুটে গেলে নামায হবেনা। নামায আবার পুনোরায় পড়তে হবে। আপনার নামায হওয়ার উত্তম কাজ হলো এই ১৩ ফরয। এই ১৩ ফরযকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো নামাযের বাহিরে ৭ফরয অন্য টি হলো নামাযের ভিতরে ৬ ফরয এখন আমরা জানবো ফরয গুলো কি কি?
নামাযের বাহিরে ৭ ফরয
১)- শরীর পাক।( আমাদের শরীর পাক থাকতে হবে।)
২)- কাপড় পাক।( আমরা যে কাপড় পরিধান করবো তা পাক থাকতে হবে।)
৩)- নামাযের জায়গা পাক।( যেই জায়গায় দাড়িয়ে নামাজ পড়বো সেই জায়গা পাক থাকতে হবে।)
৪)- সতর ঢাকা।( সতর হলো পুরুষদের নাভির উপর থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত আর নারীদের মাথা থেকে পায়ের মুরালি পর্যন্ত ঢাকা থাকতে হবে।)
৫)- ক্বিবলামুখী হওয়া। ক্বিবলা মুখী হওয়া এর অর্থ হলো পশ্চিম দিকে পিরে নামাজের জন্য দাড়াতে হবে।
৬)- ওয়াক্তমত নামায পড়া। ( নামাজের সময় হলে ওই সময় নামাজ পড়া)
৭)- নামাযের নিওয়্যাত করা। (নামাজ পড়ার নিয়ত করা)
নামাযের ভিতরে ৬ ফরয
১)- তাকবীরে তাহরীমা বলা।(আল্লাহু আকবার বলা)
২)-দাঁড়াইয়া নামায পড়া। (দাঁড়া হইয়া সোজা হয়ে নামাজ পড়া।)
৩)-ক্বিরাআত পড়া। ( কুরআন শরীফ থেকে কিছু অংশ পাঠ করা।)
৪)-রুকু ‘করা। ( রুকু করতে হবে)
৫)-দুই সিজদা করা। (দুই সিজদাহ্ করতে হবে)
৬)- আখেরী বৈঠক।( দুই সিজদাহ্ এর পর বাসাকে আখেরী বৈঠক বলে।)
নামাজের ওয়াজিব সমূহ
নামাজ পড়ার জন্য ওয়াজিব অতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ, সালাত ওয়াজিব ছুটে গেলে নামাযের শেষে চো সিজদা দিতে হবে। যদি চোসিজদা না দেয় নামাজ হবেনা পুনরায় নামাজ পড়তে হবে। তাই আমাদের যেন নামাযের মধ্যে ওয়াজিব গুলো ছুটে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নামাজের ফরজ ওয়াজিব সুন্নত মুস্তাহাব সমূহ গুলো যেনে রাখা দরকার ।
নামাজের ওয়াজিব হলো ১৪ টি।
১] আলহামদু শরীফ পুরা পড়া।(সূরা ফাতেহা পড়া) ২] আলহামদুর সঙ্গে সূরাহ মিলানো। (যে কোনো কেরাত পড়া)
৩]_ রুকু সিজদায় দেরী করা। (রুকুতে গিয়ে একটু দেরি করা)
৪]_ রুকু হইতে সোজা হইয়া খাড়া হওয়া।(এর মাজখানে একটু দাঁড়ানো)
৫]_ দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হইয়া বসা। (একটু বসে দেরি করা)
৬]_ দরমিয়ানী বৈঠক । (দুই রাকাত শেষ করার পর দুই সিজদাহ্ পর বসা)
৭]_ দোন বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বৈঠকে দোয়া পড়া)
৮]ইমামের জন্য ক্বিরাআত আস্তে এবং জোরে পড়া।(নামাজ অনুযায়ী কেরাত আস্তে বা জোরে পড়া) ৯] বিতরের নামাযে দুআয়ে কুনূত পড়া। (বিতরের নামাজে তৃতীয় রাকাতে দু
আয়ে কুনুত পড়া)
১০]_ দুই ঈদের নামাযে ছয় ছয় তাকবীর বলা।
১১]_ ফরয নামাযের ১ম দুই রাক`আতকে ক্বিরাআতের জন্য নির্ধারিত করা।(ফরজ নামাজে ১ম দুই রাকাতে কেরাত পড়তে হবে।)
১২]_প্রত্যেক রাক`আতের ফরযগুলির তারতীব ঠিক রাখা।(ফরজ ছুটে গেল নামাজ ভেগে যায় তাই ফরজ গুলো ঠিক রাখা)
১৩]_প্রত্যেক রাক`আতের ওয়াজিব গুলির তারতীব ঠিক রাখা। (ওয়াজিব গুলো ছুটে গেল সো সেজদাহ দিতে হবে, না হয় নামাজ ভেগে যাবে।)
১৪]_ আসসালামু আলাইকুম বলিয়া নামাজ শেষ করা।
নামাযে সুন্নাতের খুব গুরুত্ব দিয়েছেন
যে কোনো জিনিসের একটা নিয়ম রয়েছে সেই আনুযায়ী সুন্নত খুব গুরুত্ব পূর্ণ।
নামাজের সুন্নত কয়টি ও কি কি
নামাজের সুন্নতে মুআক্কাূাহ ১২ টি
১>| দুই হাত উঠান। (নিয়ম আনুযায়ী দুই হাত উঠান।)
২>| দুই হাত বাঁধা। (নিয়ম আনুযায়ী দুই হাত বাঁধা)
৩>| সানা পড়া।( সানা দোয়া পড়া)
৪>| আউজুবিল্লাহ পড়া।
৫>| বিসমিল্লাহ পড়া।
৬>| আলহামদুর পর আমীন বলা। +সূরা ফাতেহার শেষে আমিন বলা)
৭>| প্রত্যেক উঠা বসায় আল্লাহু আকবার বলা। (যত বার সিজদাহ্ বা রুকুতে যাবে আসবে তত বার আল্লাহু আকবার বলা)
৮>| রুকুর তাসবীহ বলা।( রুকুতে সোবহানা রব্বিয়াল আজিম বলা।)
৯>| রুকু হইতে উঠিবার সময় সামিআল্লাহুলিমান হামিদা রাব্বানা লাকাল হামদু বলা।
১০>| সেজদার তাসবীহ বলা। (সিজদাহ্ সোবহানা রব্বিয়াল আলা পড়া)
১১>| দুরুদ শরীফ পড়া।
১২>| দু আয়ে মাসুরা পড়া।
আরো পড়ুনঃ নামায ভঙ্গের কারণ সমূহ
নামাজের মুস্তাহাব সমূহঃ
১ >। দাঁড়ানো অবস্থায় সেজদার স্থানের দিকে, রুকু অবস্থায় উভয় পায়ের পাতার উপর, সেজদার সময় নাকের দিকে, বৈঠকের সময় কোলের দিকে দৃষ্টি রাখা।
২>। তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় হাত চাদর থেকে বাহিরে বের করে রাখা।
৩>। সালাম ফিরানোর সময় উভয় কাঁধের উপর দৃষ্টি রাখা।
৪>। নামাজে মুস্তাহাব পরিমান ক্বেরাত (ফজর ও যোহরে তিওয়ালে মুফাস্যাল- সূরা হুজরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত।আছর ও ইশাতে আওসাতে মুফাস্যাল-
সূরা তরেক থেকে বায়্যিনা পর্যন্ত। মাগরীবে কিসারে মুফাস্যাল- সূরা যিলযাল থেকে শেষ পর্যন্ত সূরাগুলোর যেকোনটি) পড়া।
৫>। জুমআর দিন ফজরের নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা আলিফ-লাম-মিম সেজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দাহর পড়া।
৬>।যথা সম্ভব কাশি ও ঢেকুর চেপে রাখা।
৭>। হাই আসলে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা।
এই ধরনের আরো আপডেট পেতে আমার ওয়েবসাইট পহেলা ডট ইনফো এর সাথে থাকুন, আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
Sei
Tnx bai
Pingback: দুই রাকাত নামাজে ৬০ টি মাসয়ালা